গাজায় ‘টেলিকমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট’ বন্ধ করা উচিত: অ্যাক্সেস

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-19 16:26:54

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক সপ্তাহ ধরে ‘যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট। অঞ্চলটিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দীর্ঘতম বিভ্রাটের ঘটনা এটি। মানবাধিকার রক্ষায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছে ডিজিটাল নাগরিক অধিকার গ্রুপ অ্যাক্সেস। 

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নাগরিক অধিকার গ্রুপ অ্যাক্সেস জানিয়েছে, গাজায় এক সপ্তাহ ধরে পরিচালিত এই টেলিকমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট একটি ‘জীবন-মরণের বিষয়’ হয়ে উঠেছে এবং এটি অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত। ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলার কারণে মেরামত কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। অনেক সময় সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে তাদেরকে মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় গ্রুপটির নীতি ও অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর মারওয়া ফাতাফতা বলেছেন, ‘অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং মানুষের অকল্পনীয় দুর্ভোগের মধ্যে সংযোগ নিয়ে খেলা করা অনুচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এক্সেস নাউ অবিলম্বে একটি মানবিক ও ডিজিটাল যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকায় টেলিযোগাযোগ পরিষেবাগুলোর পূর্ণ পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাচ্ছে।’

চলমান আগ্রাসনের কারণে গাজায় সব টেলিযোগাযোগ পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্যালটেল। জানুয়ারির ১২ তারিখে এই ঘোষণা করে প্যালটেল কর্তৃপক্ষ। ক্লাউডফ্লেয়ার রাডারের ডেটা ট্র্যাফিক অনেকাংশে কমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সাইবার নিরাপত্তা এবং ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি করা একটি ওয়াচডগ গ্রুপ নেট ব্লকস বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলে, গাজায় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘটনাটি ১৪৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে নবমবারের মতো এই ব্যাঘাত ঘটেছে এবং এটিই এখন পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী টেলিকম বিভ্রাট।

উল্লেখ্য, ইন্টারনেট বন্ধের কারণে গাজার ২৩ লাখ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই বিভ্রাটের কারণে বাস্তুচ্যুতদের সাথে কী ঘটছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য নথিভুক্ত করা এবং বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর