সুইডেনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলো রুশ যুদ্ধবিমান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন যুদ্ধের নানা জটিলতার মধ্যে সুইডেনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে রাশিয়ার বোমারু বিমান। রাশিয়ার এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান কৌশলগত বাল্টিক সাগরের গটল্যান্ড দ্বীপের কাছে এই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।

রয়টার্সকে শনিবার (১৫ জুন) এ খবর নিশ্চিত করেছে সুইডেনের সামরিক বাহিনী।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির সঙ্গে এমন সময় ঘটনাটি ঘটাল রাশিয়া, যখন ন্যাটো সদস্য হিসেবে সুইডেনের বয়স মাত্র তিনমাস পার হয়েছে।

সুইডেনের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, শুক্রবার (১৪ জুন) আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর রাশিয়াকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এই সতর্কতাকে গুরুত্ব দেয়নি রাশিয়া। তবে লঙ্ঘনের ঘটনাটি ছিল সংক্ষিপ্ত।

সুইডেনের বিমানবাহিনীর প্রধান জোনাস উইকম্যান বলেছেন, ‘রাশিয়ার পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি দেশটি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছে।’

গটল্যান্ড দ্বীপটি রাশিয়ার এক্সক্লেভ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সুইডিশ সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে গটল্যান্ড দ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করে, সে বাল্টিক সাগরে বিমান ও নৌ চলাচলকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

সুইডেন ২০০৪ সালে সামরিক ব্যয় হ্রাস করার পর ২০১৮ সালে গটল্যান্ডে তার গ্যারিসন পুনরায় চালু করে।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে রাশিয়ার একতরফা অধিগ্রহণের ঘটনা সুইডেনকে তার সামরিক বাহিনীকে ফের শক্তিশালী করতে প্ররোচিত করে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পর থেকে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় সুইডেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়া শেষবার সুইডিশ আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল ২০২২ সালের মার্চ মাসে।

   

‘লেবাননের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরায়েলের ভয় পাওয়া উচিত’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের প্রতি কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।

রয়টার্স জানিয়েছে তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল লেবাননে বড় আক্রমণ চালালে কোনো সংযম এবং নিয়ম ছাড়াই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে হিজবুল্লাহ।

লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার (১৯ জুন) নাসরাল্লাহ এমন মন্তব্য করলেন, যখন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, দেশটি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় নাসরাল্লাহ বলেন, ‘শত্রুপক্ষ এবং ইসরায়েলি মিডিয়াতে লেবাননে যুদ্ধ সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ভীত করে না।’

তিনি বলেন, ‘লেবাননের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরায়েলের ভয় পাওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ’র নজরদারি ড্রোনে থেকে উত্তর ইসরায়েলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সামরিক অবস্থানগুলোর ফুটেজ প্রকাশ করার পরে লেবানের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে গুরুতর সংঘর্ষের সম্ভাবনা উত্থাপন করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

কাটজ একটি সোস্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের বিরুদ্ধে নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের খুব কাছাকাছি। একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে হিজবুল্লাহ ধ্বংস হবে এবং লেবানন মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পূর্ণ শক্তির সঙ্গে উত্তরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করবে।’

এরপর গত বুধবার হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে নাসরাল্লাহ বলেন, গোষ্ঠীটি নতুন অস্ত্র হাতে পেয়েছে এবং তাদের কাছে প্রচুর ড্রোন রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে তৈরি।

তিনি বলেন, ‘শত্রুরা ভালো করেই জানে যে, আমরা সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি। শত্রুরা এটাও ভালো করেই জানে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। তারা এটা জানে যে বসিরায়েলে এমন কোনো জায়গা থাকবে না যা আমাদের রকেট এবং ড্রোন থেকে রেহাই পাবে। প্রতিটি রকেট নির্বুল নিশানায় আঘাত হানবে।’

ইসরায়েলেকে সতর্ক করে নাসরাল্লাহ আরও বলেছেন যে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে স্থল বাহিনী পাঠাতে পারে হিজবুল্লাহ।

উল্লেখ্য, ইরান-সম্পর্কিত লেবাননের এই সংগঠনটি গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরের দিন উত্তর ইসারায়েলে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে।

হিজবুল্লাহ দাবি করেছে যে, তারা ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনে ওই হামলা শুরু করেছে।

নাসরাল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক সম্পদ সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য তৈরি করছে হিজবুল্লাহ।

;

কানাডার সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, ‘ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কানাডার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে তেহরান।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি কানাডার একটি অবিবেচনাপূর্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।’

কানানি বলেন, ‘কানাডার পদক্ষেপ বিপ্লবী গার্ডদের বৈধতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না, বরং ওই তালিকা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে ইরান।’

উল্লেখ্য, রেভল্যুশনারি গার্ডসকে গত বুধবার (১৯ জুন) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করে অটোয়া। এই পদক্ষেপের কারণে কানাডায় বসবাসকারী সাবেক সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তাদের তদন্তের আওতায় নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে বিপ্লবী গার্ডদের বিরুদ্ধে একই রকম একটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ হলো, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালানা করছে আইআরজিসি।

তেহরান বরাবরই এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ইরানের এই এলিট ফোর্স একটি সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান, যা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় নিবেদিত।

ছবি : সংগৃহীত

;

উত্তর কোরিয়ার পর ভিয়েতনামে পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের একদিন পরই বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন এবং কিম পিয়ংইয়ংয়ে একটি শীর্ষ সম্মেলনে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ওই চুক্তির আওতায় আক্রান্ত হলে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া।

এছাড়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কিম।

এতোদিন ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য মস্কোকে গোলাবারুদ এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার জন্য পিয়ংইয়ংকে অভিযুক্ত করে আসছিল। তাই এই চুক্তি পশ্চিমাদের সেই ভয়কে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

যখন একজন শীর্ষ ইউক্রেনের কর্মকর্তা ইউক্রেনীয়দের ওপর গণহত্যা চালাতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে মস্কোকে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন, তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ‘রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক ভালো হওয়া গভীর উদ্বেগের বিষয়।’

গত বুধবার ২৪ বছরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ায় প্রথম সফরে গিয়ে পুতিন বলেন, তিনি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অস্বীকার করেন না। কারণ, মস্কোর মতো বিশ্বের অন্যতম পরমাণু শক্তিধর একটি দেশ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।

পুতিন বলেন, ‘আজ আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার উপগ্রহের আধিপত্যবাদ এবং নয়া-ঔপনিবেশিক অনুশীলনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করছি।’

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে দেশ দুটি একে অপরের মিত্র ছিল এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী পুতিনকে বিচ্ছিন্ন করার পর দেশ দুটির মধ্যে ঘনিষ্টতা আরো জোরদার হয়েছে।

পিয়ংইয়ং সফরের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসনের যুদ্ধের প্রচারের জন্য কোনও দেশেরই প্ল্যাটফর্ম দেওয়া উচিত নয়।’

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে গভীর সহযোগিতা একটি প্রবণতা, যা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী সকলের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।’

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে একটি উচ্ছ্বসিত অভ্যর্থনা পেয়েছেন পুতিন। বিমান থেকে নামলে পুতিনকে আলিঙ্গন করেন কিম এবং উল্লাসিত জনতা, নৃত্যশিল্পী এবং উভয় দেশের পতাকা নাড়িয়ে শিশুরা স্বাগত জানান।

তার অভ্যর্থনা ভিয়েতনামে আরও বড় আঙ্গিকে হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, দেশটি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইছে, কিন্তু কারো সঙ্গেই সুসম্পর্ক করতে পারছে না।

বিশেষ করে, এটি ক্রমবর্ধমান মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পক্ষ বাছাই এড়াতে চাচ্ছে। পুতিন বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বলে জানা গেছে।

;

দলাই লামার সঙ্গে ন্যান্সির সাক্ষাতে চীনের ক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় এসে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বৈঠক করেছেন তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার সঙ্গে।

রয়টার্স জানিয়েছে, তারপরই প্রত্যাশিতভাবেই তিব্বত নিয়ে হুমকির স্বরে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবে বিবেচনা না করে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে তারা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিং জিয়াংয়ের ভাষ্যমতে, ‘চতুর্দশ দলাই লামা পুরোপুরি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নন, বরং ধর্মের নামে চীনবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত একজন নির্বাসিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।’

চীন-তিব্বত বিরোধ সমাধানের সপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পাশ হওয়া আইনকে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন না করেন, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি ভারতকেও কিছুটা বার্তা দিয়ে নয়াদিল্লির চীনা দূতাবাসও মুখ খুলেছে। নয়াদিল্লির চীনা দূতাবাস এক দীর্ঘ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চাই, দলাই লামা গোষ্ঠীর চীন বিরোধিতা এবং তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী অবস্থানকে তারা বুঝুক। বিশ্বকে ভুল সংকেত পাঠানো বন্ধ করুক’।’

অন্যদিকে, ভারতেরই মাটিতে দাঁড়িয়ে বেইজিংকে উদ্দেশ্য করে পেলোসির বক্তব্য হলো, ‘ধর্মগুরু দলাই লামা দীর্ঘজীবী হবেন এবং তার পরম্পরা চলতেই থাকবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট (চীনের), আপনি যখন যাবেন, কেউ আপনাকে কোনো কাজের জন্যই কৃতিত্ব দেবে না। দলাই লামা হয়তো চাইবেন না আমি এভাবে চীনা সরকারের সমালোচনা করি। তিনি হয়তো বলবেন, আমরা প্রার্থনা করি যাতে ন্যান্সি এই নেতিবাচক আচরণ থেকে মুক্তি পান! তবে আশা করব, তিনি আজ আমাকে এটা বলতে দেবেন যে, পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তন আর তিব্বতের মানুষের আশাভরসা যাবতীয় তফাৎ গড়ে দেবে।’

এদিকে, আগেই লাদাখে ভারতের জমি দখল করে বসে আছে বেইজিংয়ের লাল ফৌজ। নরেন্দ্র মোদি সরকার তার প্রায় পুরো দ্বিতীয় পর্বজুড়ে নানাভাবে চেষ্টা করেও সামগ্রিকভাবে চীনা সেনাকে পশ্চাদপসরণ করাতে পারেনি। ফলে তিব্বতের তাস যদি যুক্তরাষ্ট্র খেলে, তা ভারতের জন্য সুবিধাজনক।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সম্প্রতি ‘তিব্বত-চীন বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহ প্রদান’ আইন ৩৯১-২৬ ভোটে পাশ করেছে। সিনেটেও তা পাশ হয়ে গিয়েছে।

ওই আইন অনুযায়ী, তিব্বতের ইতিহাস, মানুষ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্পর্কে চীনের মিথ্যা তথ্যের মোকাবিলা করতে অর্থ সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিব্বত তাদের অংশ বলে চীন যে দাবি করে, সেই ভাষ্যের পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে।

তিব্বতের নেতাদের সঙ্গে চীনের যে আলোচনা ২০১০ সাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে, তা চালু করার জন্য বেইজিংয়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে তিব্বত নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনো যায়। এই আইনকে ভারত পরোক্ষভাবে কী করে কাজে লাগায়, তার ট্রেলার এনডিএ সরকার গড়ার পক্ষকালের মধ্যেই দেখা গেল বলে অনেকেই মনে করেছেন।

;