হুথিদের হামলায় নির্দেশনা ও সহায়তা দেয় ইরান-হিজবুল্লাহ

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-20 19:56:16

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডাররা ইয়েমেনের মাটিতে লোহিত সাগরের জাহাজে হুথি হামলার নির্দেশনা ও তদারকি করতে সহায়তা করছেন।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স সুত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স বলছে, চারটি আঞ্চলিক এবং দুটি ইরানি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান হুথিদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান ও অর্থায়ন করেছে। গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মিলিশিয়াদের কাছে তার অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে। হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর থেকে ইরান-সমর্থিত জঙ্গিদের এই সুবিধা প্রধান শুরু করেছিলো।

সুত্র জানিয়েছে, লোহিত সাগরের জাহাজে আক্রমণের জন্য হুথিদের কাছে ইরান ড্রোন এবং প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল সরবরাহ করেছে। এছাড়াও ইরান লোহিত সাগরে জাহাজগুলিতে হামলা ক্রতে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে। গত মাসেও ইরানে হুথিরা উন্নত অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছেন ৬২ হাজারেও বেশি মানুষ। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এর পর থেকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর দিয়ে ইসরাইলগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা করতে শুরু করে।

সম্প্রতি হুথিদের বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনী বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে হুথিদের আক্রমণ ঠেকাতে একটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোটও গঠন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নেতৃত্বে ১০ জাতি ‘বহুজাতিক নিরাপত্তা উদ্যোগে’ যোগদানকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, সিসিলি ও বাহরাইন ছিল অন্যতম।

অন্যদিকে ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী বলেছে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরে হামলা চালিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে মার্কিন হামলার বদলা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে হুথি। তবে লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে আক্রমণ চালানো হলেও রুশ ও চীনা জাহাজের নিরাপদ উত্তরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হুথিরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর