ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ হলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থাকে (ইউএনআরএডব্লিউ) গাজা উপত্যকা থেকে আর কাজ করতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের (এএফপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, টাইমস অব ইসরায়েল (টিওআই) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরএডব্লিউ) ১২ জন সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছে।
ইসরায়েল সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানায় যে, সংস্থাটির অভিযুক্ত সদস্যরা ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসকে সহায়তা করেছেন। এর পর পরই সংস্থার ১২ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করা চরমপন্থি ইসলামি দল হামাসকে ইউএনআরএডব্লিউ-এর যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে সহায়তা করেছিলেন তারা।
এ ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা সংস্থাটিকে অর্থ সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা করে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থার (ইউএনআরএডব্লিউ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজরিনি জানান, ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে অভিযুক্ত সদস্যদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংস্থার যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পেলে তাকে ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে এবং অপরাধে যুক্ত থাকার জন্য তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘ইসরায়েল যে সব সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তার সাক্ষ্য-প্রমাণ দাখিল করেছে সংস্থার কাছে’।
ইসরায়েলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অ্যাক্সিওস নিউজকে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থার (ইউএনআরএডব্লিউ) যে সব সদস্য হামাসকে যানবাহন সরবরাহসহ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছেন, সে বিষয়ে প্রামাণ্য দলিল হস্তান্তর করেছে শিন বেট ও আইডিএফ।
জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্টিনিও গুতেরিসের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) হামাসকে সহায়তা করাকে ‘অত্যন্ত বিপদজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।