তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন থাকবে না : মোদি

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-03-01 22:26:53

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন থাকবে না বলে শুক্রবার (১ মার্চ) পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগের সভা থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ঘড়ি ধরে আধা ঘণ্টার বক্তৃতার শেষ দিকে এই কথা বললেও শুরুতে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে আক্রমণ করতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘মুসলিম তোষণের’ অভিযোগ তোলেন মোদি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মোদির অভিযোগ ও ভবিষ্যদ্বাণীকে তৃণমূল যে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। দলটির মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল ধর্মীয় ভেদাভেদ করেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ধর্ম এবং মতনির্বিশেষে মানুষের সমর্থন রয়েছে।’

শুক্রবার আরামবাগে বিজেপির জনসভায় মোদী তার বক্তৃতার শুরুর দিকেই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টানেন। ওই এলাকায় যা ঘটেছে, তা নিয়ে গোটা দেশ ব্যথিত বলার পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন যে, ‘এখন বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করছেন, আপনার কাছে কিছু ভোটের মূল্য কি মা-বোনদের কষ্টের থেকেও বেশি?’

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে গতকাল বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল আশা করেছিল, মোদির সফরের আগের দিনই শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ায় বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার ঝাঁজ অনেকটাই কমে যাবে।

কিন্তু সভার শুরুতেই মোদির উপস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার প্রায় পুরোটাই সন্দেশখালি নিয়ে বলেন।

এরপরেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের উপর অত্যাচারের সব সীমা পার করে ফেলেছে! যখন এর বিরুদ্ধে নারীরা আওয়াজ তুললেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইলেন, তখন তার বদলে তারা কী পেলেন? মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত শক্তি লাগিয়ে দিলেন অপরাধীকে বাঁচাতে!’

এখানেই না থেমে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সময় নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির চাপে তৃণমূল বাধ্য হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে। তৃণমূল রাজত্বে তৃণমূলের এই নেতা দুই মাস গায়েব ছিল। কেউ তো ছিল, যারা একে আড়াল করে রেখেছিল!’

এরপরেই জমায়েতের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মোদি বলেন, ‘আপনারা কি এই তৃণমূলকে ক্ষমা করবেন? যারা মা-বোনদের সঙ্গে এমন করেছে, তাদের বদলা নেবেন কি না? সব হিসাব ভোটে হবে। এখন বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার কাছে কিছু ভোটের মূল্য কি মা-বোনেদের কষ্টের থেকেও বেশি?’

বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘কিছু ভোট’ বলতে মোদি রাজ্যের মুসলিম ভোটের কথাই বলেছেন।

বক্তৃতার শেষে মোদি এই রাজ্যে মুসলিমরা লোকসভা নির্বাচনে কী করবেন, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি বলেন, ‘মুসলিম ভাই-বোনেরা এবার তৃণমূলকে শিক্ষা দেবে। তৃণমূলের বিদায়ের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে।’

এর জবাবে শান্তনু বলেন, ‘মোদির আমলে দেশে সংখ্যালঘুদের কী অবস্থা, তা সারাদেশ জানে। আর বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষ এক ছাতার তলায়। কেউই বিকল্প খুঁজতে যাবেন না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর