দুটি অপহরণ, নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রুহেল চৌধুরীর (৩৪) বিরুদ্ধে। পলাতক এই আসামিকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
গত শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ।
একটি মামলায় নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পাড়ার বাসিন্দা আবু চৌধুরী (৩৪) এবং তার স্ত্রী ইফফাত লুবনাকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অন্য আরেক মামলায় সুলতানা রাজিয়া, সৈয়দ রুবেল আহমেদ (৪৩) ও আঞ্জু খানকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। রাজিয়া ও আহমেদ জামিনে মুক্তি পেলেও খান হেফাজতে রয়েছেন।
রুহেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপহরণে ব্যবহৃত যানবাহন সরবরাহ করা, অপহরণ, যৌন নির্যাতন এবং মুক্তিপণ দাবিতে সহায়তা করা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এফবিআই বলেছে, নিউইয়র্কের কুইন্সের হলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা এলাকায় যাতায়াত রয়েছে রুহেল চৌধুরীর। তিনি পুরোনো গাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।
নিউইয়র্কের কুইন্সে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ এবং ১১ মে ঘটে যাওয়া দুটি অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রুহেল চৌধুরীকে খুঁজছে পুলিশ। তিনি এবং অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা রাস্তায় অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের ছিনতাই ও নির্যাতন করেছেন। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মাদক প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও এফবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
একজন ভুক্তভোগীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন রুহেল চৌধুরী। এছাড়া সেই ভুক্তভোগীর জন্য মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল বলেও জানায় এফবিআই।
রুহেল চৌধুরী অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের কুইন্সের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখতেন। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে গাড়ি সরবরাহ করতেন এবং বিভিন্ন সময় নিজেই সেসব চালাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভুক্তভোগীদের মারধর ও হুমকিও দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট, নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট, ব্রুকলিন এবং নিউইয়র্কে এ বছরের ৯ জানুয়ারি রুহেল চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য একটি ফেডারেল পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি অপহরণ এবং দুটি অপহরণের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এফবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সতর্কতা জানান হয়েছে যে, রুহেল চৌধুরীর সঙ্গে অস্ত্র থাকতে পারে। তিনি বিপজ্জনক এবং পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কেউ যদি রুহেল চৌধুরীর ব্যাপারে কোনো তথ্য জেনে থাকেন তবে নিকটস্থ এফবিআই দপ্তর অথবা আমেরিকান দূতাবাসে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।