নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিকাশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৫ মার্চ) মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নুরজাহান বেগমের তিনটি ছবি পোস্ট দিয়ে একথা লেখা হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করছে যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
জানা যায়, সোমবার (৪ মার্চ) রাতে পিটার হাসের বাসভবনে এক নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালে’র প্রধান চিফ টেকনোলজি অফিসার গ্রেগ নেলসনের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষে পিটার হাস এই নৈশভোজ ও বৈঠকের আয়োজন করেন।
বৈঠকে গ্রামীণ এবং অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুইটির মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। অ্যামি হাস, লরি নেলসন এবং গ্রামীণ শিক্ষার এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান নূরজাহান বেগমও এই নৈশভোজ ও আলোচনায় অংশ নেন।
লিংকডইন পোস্টে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস এবং নুরজাহান বেগমের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে তাদের অসাধারণ কাজ সম্পর্কে কথা বলা একটি অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে এবং আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। আপনারা যে কাজ করেন তার জন্য ধন্যবাদ।