ফের দিল্লির পথে কৃষকেরা, রুখতে প্রস্তুত পুলিশ

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-03-06 16:26:22

আবারও ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে কৃষকেরা। কয়েক দিন বিরতির পর তারা এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এবারের পদক্ষেপে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ তো আছেই, দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্য থেকেও কৃষকদের রাজধানীতে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, কৃষকদের আটকাতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও। আন্দোলন ঠেকাতে দিল্লির সীমানাসহ বিভিন্ন জায়গাতেও পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

গত ৩ মার্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা সরবন সিং পান্ধে বলেছিলেন, ‘বুধবার তারা আবারও রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করবেন। তিনি এটাও বলেন, ‘যারা ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লি ঢুকতে পারবেন না, তারা ট্রেন বা অন্যান্য পরিবহণে করে রাজধানী যেতে পারেন। আমরা দেখতে চাই ট্র্যাক্টর-ট্রলি ছাড়া সরকার কৃষকদের কীভাবে আটকায়।’

পান্ধের এই কথা মতোই বুধবার সকাল থেকেই কৃষকেরা তোড়জোড় শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা কখন তাদের অভিযান শুরু করবেন বা কীভাবে তারা দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, সে বিষয়ে বিশদ জানা যায়নি।

অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারির পর থেকেই নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। শম্ভু, সিংঙ্ঘু, খানৌরি এবং টিকরি সীমানাতে পাহারা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ।

এক উচ্চপদস্থ এক পুলিশকর্তার ভাষ্যমতে, ‘সিংঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানাতে যে অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল, তা সরানো হয়েছে। তবে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকবে আগের মতোই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লির রেলওয়ে স্টেশন, মেট্রো স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে কোনোভাবেই আইন লঙ্ঘন করতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। শহরে যানজট এড়াতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নিজেদের দাবি-দাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব থেকে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। আন্দোলনকারী সেই কৃষকদের পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তেই আটকে দেয় হরিয়ানা পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় সেখানে।

সেই থেকে কৃষকেরা সীমানার সামনে বসেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল দিল্লিতে প্রবেশের সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানা। সেখানে বড় বড় বোল্ডার, বালির বস্তা, পেরেক পুঁতে রাখা হয়। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই দুই সীমানা খুলে দেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই ক্রেন দিয়ে সরানো হয়েছিল ভারী বোল্ডারও। তবে নতুন করে কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেওয়ায় পুলিশও নিরাপত্তার দিকে জোর দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর