ভারতের নয়াদিল্লির আবগারি মামলায় গ্রেফতার হওয়া ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী তথা তেলঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতাকে ৮ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হায়দ্রাবাদে নিজের বাসভবন থেকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) কবিতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা-ইডি। তারপর তাকে সোজা দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর শনিবার (১৬ মার্চ) কবিতাকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানায় ইডি। তবে বিচারক আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত কবিতার ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেন।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার দুপুরে কবিতার হায়দ্রাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এ সময় তার বাড়িতে চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর বিকালে বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি নেওয়া হয়।
ইডি সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে কবিতাকে গ্রেফতার করা হয়। তার পাঁচটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শনিবার আদালতে প্রবেশের মুখে নিজের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন কবিতা। তিনি বলেন, ‘আমার গ্রেফতারি বেআইনি। তাই আদালতে লড়াই করবো।’
ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার বিষয়ে ভাবছেন কবিতা। অন্যদিকে, দেশের শীর্ষ আদালতে কবিতার দায়ের করা আরও একটি মামলা চলছে। ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ করে ওই মামলা করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার ওই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার প্রসঙ্গ টেনে কবিতার আইনজীবী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি বিচারাধীন। এমন অবস্থায় কীভাবে কবিতাকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি?’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে ইডি জানিয়েছে, তারা কবিতাকে গ্রেফতার করবে না। তারপরও কীভাবে এমন পদক্ষেপ নেয় ইডি?’ তার মক্কেলকে হয়রানি করার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কবিতার আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন তারা জানতে পারে যে, এই মামলায় যুক্ত আছেন কবিতাও।
কবিতাকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত বছর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে সম্প্রতি ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এই মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ হলো, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, ওই সংস্থার ৬৫ শতাংশের মালিক হলেন এই কবিতা।