টেক্সাসের বিতর্কিত অভিবাসন আইন ‘স্থগিত’ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজ্য এ ধরণের যে কঠোর আইন করেছে টেক্সাসের আইনটি তার অন্যতম। এসবি৪ অনুমোদন দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আপিল শুনানিতে এমন রায় দেওয়া হয়েছে।
এসবি৪ নামের আইনটির মাধ্যমে যেসব অভিবাসী আনঅথোরাইজড বা অনুমোদনহীন তাদেরকে আটক ও বিচার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল টেক্সাসের কর্মকর্তাদের। এই আইনের অধীনে যেসব অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মেক্সিকো। আইনটিকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যদি এই আইনটি কার্যকর হতো তাহলে কিভাবে অভিবাসী বিষয়ক আইন প্রয়োগ করা হতো এবং তাতে বড় রকমের একটি পরিবর্তন দেখা দিতো।
এর আগে আদালত রায়ে বলেছে, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারই দেশে অভিবাসন বিষয়ক আইন প্রয়োগ করতে পারে। সেটা কোনো রাজ্য নিজেরা করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বেআইনিভাবে অতিক্রম করা একটি ফেডারেল ক্রাইম হিসেবে দেখা হয়।
কিন্তু যারা সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন বা এ নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিষয়ক আদালতের মাধ্যমে দেওয়ানি বা সিভিল মামলা হয়। এসবি৪-এর অধীনে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে টেক্সাসে প্রবেশের কারণে ২০ বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রাখা হয়। আইনটি অল্প সময়ের জন্য কার্যকর হয়েছিল। এখন আদালতের আদেশে তা বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে এসবি৪ এর অধীনে টেক্সাস যেসব অভিবাসীকে বের করে দেবে, তাদেরকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মেক্সিকো।
এর আগে এসবি৪ আইনকে অভিবাসী বিরোধী আখ্যায়িত করে এর কড়া সমালোচনা করেন মেক্সিকোর কর্মকর্তারা। তারা সতর্ক করে এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জটিল করে তুলতে পারে। একই কথার প্রতিধ্বনি তোলে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য।