রাজনৈতিক বন্দী এবং সুশীল সমাজের প্রতি অন্যায় নিপীড়নে ভূমিকা রাখায় নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ওয়েন্ডি ক্যারোলিনা মোরালেস আরবিনা, যিনি ২০১৯ সাল থেকে নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, তিনি কোনো প্রকার আইনি ভিত্তি ছাড়াই সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভিন্নমত দমন করার জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টায় তার কার্য্যালয় কাজে লাগিয়েছেন।’
আল জাজিরাকে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, মোরালেস উরবিনা ২২২ জন রাজনৈতিক বন্দীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে থাকা মোরালেসের যেকোনও সম্পত্তি বা অর্থ ব্লক করেছে এবং তার সঙ্গে মার্কিন লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং তার স্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর দ্বারা নিকারাগুয়ায় শান্তিপূর্ণ বিরোধী সদস্যদের নির্মম নিপীড়নকে সমর্থন করেছেন।’
মিলার এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রবিরোধী চরিত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, ওর্তেগার সরকার গত বছর সন্ত্রাসের অভিযোগে ৩০০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, মোরালেস আরবিনা বিরোধীদের দমনের নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি ছিলেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর আগে মোরালেস আরবিনাকে কালো তালিকায় রেখেছিল এবং তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ করেছিল।