ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন যে, দেশটির প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে যাওয়ায় কিয়েভের একটি প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিবিএসের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) কথা বলার সময় জেলেনস্কি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তার মিত্রদের প্রতি বারবার সদয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া তার দেশের অবকাঠামোগুলোতে হামলা বাড়ানোর কারণে মরিয়া হয়ে গোলাবারুদের আহ্বান জানাচ্ছে ইউক্রেন।
প্রসঙ্গত, ট্রিপিলস্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (টিটিপিপি) কিয়েভ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কেন্দ্র, যেটি গত ১১ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে রাশিয়া।
জেলেনস্কি পিবিএসকে বলেন, ‘ট্রিপিলস্কাতে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলে পড়েছিল। আমরা প্রথম সাতটি ধ্বংস করেছি। কিন্তু, বাকি চারটি ট্রিপিলস্কাকে ধ্বংস করেছে। এর কারণ, সেখানে আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে গিয়েছিল।’
আল জাজিরা জানিয়েেছে, আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাতে রাজি করাতে যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন।
কিয়েভ আকাশ প্রতিরক্ষা বাড়াতে বাড়াতে চাইছে কারণ রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে তিনটি বড় হামলা চালিয়েছে।
কিয়েভ বলেছে, ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে সঠিকভাবে সুরক্ষিত করতে তাদের ২৫টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রয়োজন।
এদিকে জার্মানি গত শনিবার বলেছে, তারা ইউক্রেনে তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররা অবশ্য এর আগেই প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো চলতি মাসের শুরুতে সতর্ক করে বলেছিল যে, বারবার হামলার কারণে দেশের জ্বালানি ব্যবস্থার নিশ্চিত সুরক্ষা প্রয়োজন।
অন্যদিকে মস্কো বলেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ইউক্রেনের যুদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস করা এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ নেওয়া।