ভারত-কানাডার বিদ্যমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনে আবার উত্তেজনা বেড়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উপস্থিত হয়েছেন এমন একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) নয়া দিল্লিতে অবস্থিত কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে এ ঘটনায় সমন পাঠায় ক্ষুব্ধ ভারত।
কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে জানিয়ে দেয়া হয়, এ ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বড় রকম প্রভাব পড়বে এবং সহিংসতার পরিবেশকে উৎসাহিত করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, কোনো অনুষ্ঠানে চেক না করে এমন কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়ার বিরুদ্ধে ভারত সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শক্ত প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল যে, কানাডা সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী, উগ্রপন্থি এবং সহিংসতাকে রাজনৈতিক স্পেস দিচ্ছে । অব্যাহত এ ঘটনা শুধু কানাডা-ভারতের সম্পর্কের ওপরই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, একই সঙ্গে কানাডায় সহিংসতা এবং অপরাধের একটি পরিবেশ সৃষ্টিতে উৎসাহিত করে।
উল্লেখ্য, কানাডা ভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘খালসা দিবস’ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন ট্রুডো। সে সময় বেশ জোরে স্লোগান দেয়া হচ্ছে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমিত সিং এবং টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চৌ। ওই শহরে বার্ষিক অনুষ্ঠান হিসেবে এতে রোববার যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
এনডিটিভি বলেছে, এতে ভাষণে ট্রুডো কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার করেন। ঘৃণা ও অবমাননা থেকে তাদেরকে রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, এর আগে শিখ নেতা নিজারকে হত্যার জন্য জন্য তিনি সরাসরি ভারতকে দায়ী করেন। কিন্তু ভারত সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তাদের এ অভিযোগকে উদ্ভট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে ভারত। অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে ভারতের অভিযোগ।