ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার শুক্রবার (১০ মে) প্রকাশিত একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, তিনি মনে করেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২৬ মাস পুরনো যুদ্ধ আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করবে। কারণ, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিলম্ব কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ওলেস্কান্ডার পাভলিউক দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ‘রাশিয়া জানে যে, আমরা যদি এক বা দুই মাসের মধ্যে পর্যাপ্ত অস্ত্র পাই, তাহলে পরিস্থিতি তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সময়মত মূল অস্ত্রের সরবরাহ প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, পাভলিউকের সাক্ষাৎকারটি শুক্রবারের উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলার আগে প্রকাশিত হয়।
দ্য ইকোনমিস্ট জানিয়েছে, পাভলিউক বিশ্বাস করেন মস্কো পূর্বে লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ধীরগতির অগ্রগতির আক্রমণের দিকে মনোনিবেশ করবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। প্রত্যাশিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের মাধ্যমে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আক্রমণের মোক্ষম দিক নির্বাচন করার আগে আমাদের ফ্রন্টলাইনের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করছে রাশিয়া।’
এদিকে, রাশিয়া বাহিনী গত ফেব্রুয়ারিতে আভদিভকা শহর দখল করার পর পূর্বে কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে।
পাভলিউক সম্ভবত পূর্বাঞ্চলীয় শহর চসিভ ইয়ার হারানোর বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। কারণ, মস্কোর লক্ষ্যবস্তু ক্রামতোর্স্ক এবং স্লোভিয়ানস্কের মতো অন্যান্য শহরগুলোর প্রবেশদ্বার হলো এই চসিভ ইয়ার।
তিনি বলেন, ‘চাসিভ ইয়ারের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়।’
পাভলিউক বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন কিয়েভের সুরক্ষার উপর নতুন করে মনোনিবেশ করা উচিত।
তিনি দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, ‘কিয়েভকে রক্ষা করা আমাদের প্রধান উদ্বেগের মধ্যে একটি। এটি ইউক্রেনের হৃদয় এবং আমরা জানি ভবিষ্যতে এই রাজধানীই প্রতিরক্ষার মূল ভূমিকা পালন করবে।’