ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে ধাক্কা খেল বিজেপি। কারণ, মঙ্গলবার (১৪ মে) কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হাজারিবাগের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহার ছেলে আশির।
জয়ন্তের পিতা যশবন্ত সিনহা এক সময় অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় হাজারিবাগ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ। এমত অবস্থায় মঙ্গলবার আশির সেখানকার কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ ভাই পাটেলের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন।
ঘটনাচক্রে, ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে হাজারিবাগের মাণ্ডু কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন জয়প্রকাশ। গত মার্চ মাসে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে শামিল হন তিনি।
আশিরের পিতা, বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত তার আগেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
আশিরের দাদা যশবন্ত হাজারিবাগ থেকেই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে বাজপেয়ীর সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন।
২০০৪ সালে হেরে গেলেও ২০০৯ সালে হাজারিবাগ পুনরুদ্ধার করেন যশবন্ত। ২০১৪ সালে বাবার লোকসভা কেন্দ্র হাজারিবাগ থেকেই জিতে আসার পরে জয়ন্তকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার পরে বিমান মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু, মোদির দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিত্ব পাননি জয়ন্ত।
বাজপেয়ী সরকারের অর্থ এবং পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো যশবন্ত বিজেপি রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন মোদির জমানায়।
তিনি ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন। ২০২১ সালের মার্চে নীলবাড়ির লড়াই পর্বে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। জয়ন্ত অবশ্য বিজেপিতেই থেকে গিয়েছিলেন।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যশবন্তকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সমর্থনও তিনি পেয়েছিলেন।
কিন্তু, বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে হেরে যান তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পরে প্রকাশ্যে নিজের সাবেক দলের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছিলেন যশবন্ত। সেই সঙ্গেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেন তিনি।