পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় এফআইআর দাখিল করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ওই নারী অভিযোগপত্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকসহ মোট পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বুধবার (১৪ মে) রাতেই থানায় ওই অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে ধার্য করার খবর পাওয়া যায়।
জানা গেছে, এফআইআরে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা দিলীপ এবং তার ছায়াসঙ্গী সৈকত দাসেরও।
সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া এলাকায় এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। ওই নারীর স্বামী সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নারী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন। ধস্তাধস্তিতে তিনি পাশের পুকুরে পড়ে যান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
ওই নারীর দাবি, তখন পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। রাতেই সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে সন্দেশখালি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার বয়ান রেকর্ড করা হয়। এরপর তাকে বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। বসিরহাট মহকুমা আদালতে তার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, ‘শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু শাহজাহান বলেছিল, সন্দেশখালিতে প্রচুর শেখ শাহজাহান তৈরি আছে। তার কথাই ঠিক হলো। এই দুষ্কৃতীরা আজ আমাদের মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছে। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে।’
অন্যদিকে, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাই বিজেপি দিশাহারা হয়ে গেছে। ফলে নারীদের দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছে। আসলে দিলীপ মল্লিক খুব ভাল সংগঠক। ভাল কাজ করছেন। যেটা বিজেপির পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। সেই কারণেই দিলীপ মল্লিকের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ।’