ইউক্রেনের কাছে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করবে ফ্রান্স। রয়টার্স জানিয়েছে, এ ছাড়াও কিয়েভের সঙ্গে একটি নতুন সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসাবে ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণও দেবে প্যারিস।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার (৬ ) এই ঘোষণা দিয়েছেন।
মাখোঁ ফরাসি টিভিকে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) আমরা একটি নতুন সহযোগিতা চালু করবো। সেটা হলো-আগামীকাল আমরা ফরাসি নির্মাতা ড্যাসল্টের তৈরি মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে হস্তান্তরের ঘোষণা করবো এবং ফ্রান্সে ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
মাখোঁ বলেন, তিনি শুক্রবার (৭ জুন) প্যারিসের এলিসি প্রসাদে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মিলিত হবেন।
এ সময় তিনি এই গ্রীষ্ম থেকেই পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে জেলেনস্কিকে প্রস্তাব দেবেন।
তিনি বলেন, ‘জেলেনস্কির পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। তাই বছরের শেষ নাগাদ দক্ষ পাইলট দরকার। পাইলটদের ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
তবে, কতোটি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি মাখোঁ।
মাখোঁ বলেন, ফ্রন্টলাইনে হাজার হাজার সেনা পাঠানোর জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে ইউক্রেন।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ইউক্রেনের ৪,৫০০ সেনার একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেডকে সজ্জিত করবে ও প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে তারা ইউক্রেনে ফিরে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইউরোপকে তার সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য চাপ দিচ্ছে কিয়েভ। কারণ, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের ডি-ডে-র ৮০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
মাখোঁ বলেন, ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের সেনা সংখ্যা বাড়ানোর ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউক্রেন মাটিতেই তার বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য সামরিক প্রশিক্ষক পাঠাতে বলেছে।
মাখোঁ বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টা আগে একটি অফিসিয়াল চিঠিতে তার সকল মিত্র দেশকে বলেছেন, ‘আমাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের জন্য আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন।’