অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের ধ্বংসের মাত্রা দেখে হতবাক জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ। তিনি বলেছেন, ওই অঞ্চলে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছেন। তাদের কাছে নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি, নেই স্যানিটেশনের ব্যবস্থা।
শনিবার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসের কারণে দক্ষিণ গাজায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ বলেন, গাজা সিটির মধ্য দিয়ে জাবালিয়া যাওয়ার পথে ধ্বংসের চিহ্ন অবিশ্বাস্য। গাজার উত্তরে কোন একটি ভবন আমি অক্ষত দেখতে পাইনি। এই অঞ্চলের মানুষ এখন ট্রমার মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, একজন মহিলা যিনি যুদ্ধে তার স্বামীকে হারিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেন ২৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধ আমার কাছে ২৫০ বছরের মতো মনে হচ্ছে।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, গাজায় আমাদের জন্য কাজ করা কঠিন হচ্ছে। কর্মীদের প্রতিদিন পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আঘাত করেছে।
ডব্লিউএফপি আশঙ্কা করছে যে দক্ষিণ গাজায় শিগগিরই উত্তরাঞ্চলের মতো দুর্ভিক্ষে"র কবলে পড়েবে।
দক্ষিণ গাজার পরিস্থিতি খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ১০ লাখের বেশি লোককে রাফাহ থেকে এই অঞ্চলে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে সমুদ্র সৈকত বরাবর একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আটকা পড়েছে, স্কাউ বলেন।
ডব্লিউএফপি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের জন্য নিরাপদ ও টেকসই পথ খোলার আহ্বান জানিয়েছে।