ইসরায়েলি জিপে আহত ফিলিস্তিনিকে বেঁধে রাখা মর্মান্তিক : যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-06-25 19:15:17

ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সামরিক জিপে একজন আহত ফিলিস্তিনিকে বেঁধে রাখার ভিডিওকে মর্মান্তিক বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার (২৪ জুন) ওই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিউজ ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কী ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে না?

উত্তরে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা সেই ভিডিওটি দেখেছি। এটি মর্মান্তিক। ওই ধরণের পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মানুষকে কখনোই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংক্ষিপ্ত রূপ আইডিএফ ব্যবহার করে মিলার বলেন, ‘আইডিএফের দ্রুত তদন্ত করা উচিত যে, কী ঘটেছে। জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে গ্রেপ্তার অভিযানের সময় একজন আহত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সামরিক জিপের হুডের সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এবং রয়টার্স দ্বারা যাচাইকৃত ভিডিওতে জেনিনে আহত ওই ফিলিস্তিনির নাম মুজাহেদ আজমি বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে একজন সন্দেহভাজন আহত হয় এবং পরে তারা ওই ব্যক্তিকে আটক করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেনারা তখন সামরিক প্রটোকল লঙ্ঘন করেছিল।

আইডিএফ বলেছে, ঘটনার ভিডিওতে বাহিনীর আচরণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইডিএফ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মিলার বলেন, ‘ওই সেনারা যে আদেশ পেয়েছিল তার সঙ্গে তাদের পদক্ষেপগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তারপর থেকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর উপর ঘন ঘন সেনা অভিযান, ফিলিস্তিনি গ্রামে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডব এবং রাস্তায় মারাত্মক হামলার ফলে তা বহু গুণ বেড়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর