অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সূক্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি অভিযানে এই অঞ্চলে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন ৫ হাজার ২৯৫ বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলি সরকার। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই পরিকল্পনাটি পাস হয়েছে বলে জানা গেছে।
এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান সহিংসতায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা আবারও শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এজন্য ইতিমধ্যে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ৫ হাজার ২৯৫টি বাড়ির জন্য অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এটি জর্ডান উপত্যকায় এবং হেব্রন শহরের কাছে ইসরায়েলের নতুন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গাজা আগ্রাসনের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৩ হাজার ১৩৮ একর জমি নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে দখলদার ইসরায়েল। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির পর এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিজেদের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল।
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সামনে বড় দু’টি চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে। প্রথমটি হলো হিজবুল্লাহ এবং দ্বিতীয়টি হলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান। দুটো চ্যালেঞ্জই তার নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য স্পর্শকাতর।
সম্প্রতি স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপের অন্য অনেক দেশও স্বীকৃতি দেওয়ার পথে রয়েছে। এটি বন্ধ করার জন্যই পশ্চিম তীরে একের পর এক আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনার অনুমোদন দিচ্ছেন তিনি।