দীর্ঘ ১৪ বছর পর লেবার পার্টি যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় আসায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ের স্টারমার। ক্ষমতায় এলেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, লেবার পার্টি তাদের ইশতেহারে বলেছিল, ‘আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার ফলে একটি টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরায়েলসহ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান হবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিসহ সমস্ত জিম্মি মুক্তি ও গাজায় সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চায় লেবার পার্টি। এ সংঘাতের সমাধানের পক্ষে যুক্তরাজ্য।’
এদিকে হামাস ইসরায়েল সংঘাত ইস্যুতে গত বছর নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন স্টারমার।
তবে, ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়ানোর প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে স্টারমার বলেন, ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে।
এ সময় আত্মরক্ষার নামে পরিচালিত ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলেও আখ্যা দেননি তিনি।
লেবার পার্টির এই নেতা আরও বলেন, ইসরায়েলসহ প্রতিটি দেশকে আন্তর্জাতিক আইনের আদালতে যথাযথভাবে জবাবদিহি করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা উচিত কিনা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি।