অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত চুক্তির একটি সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চলমান আলোচনায় মূল দাবি বাদ দিয়েছে গোষ্ঠীটি। এর মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির নতুন আশার দেখা দিল।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরুর আগে গাজা নিয়ন্ত্রণ করেছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল দাবি বাদ দেওয়ার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে।
হামাস এবং একজন মিসরীয় কর্মকর্তা শনিবার (৬ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া এই বিষয়ক প্রস্তাবে ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে হামাস। রবিবার (৭ জুলাই) হামাসের দুই কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে চুক্তিটি শেষ হতে পারে। নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব শুরু হতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে ৯ মাসের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে।
এ নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। তবে সব পক্ষই সতর্ক করেছে যে, চুক্তিটি এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এ ধরনের হামলা চালাল ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেন্ট্রাল গাজার শরণার্থী শিবিরে ওই ভবনটিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বলেছে, তারা আল জাওনি স্কুল এলাকায় কিছু অবকাঠামো, যেখান থেকে সন্ত্রাসীরা কাজ করছিল, সেখানে আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে ওই শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ভিন্ন এক হামলায় আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিবিসির ধারণা অনুযায়ী, ভবনটিতে সাত হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
অন্যদিকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ৯ মাস পূর্ণ হলো রোববার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু করা পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাসের ওই দিনের হামলায় ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ সময় আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।