পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবি’র আরো ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে রাওয়ালপিন্ডির অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট।
সোমবার (২৯ জুলাই) ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থিত করে আরো ১০ দিনের রিমান্ড চায় দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়। তোষাখানা মামলায় সোমবার ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় এনএবি মামলার অগ্রগতির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন এনএবি’র প্রসিকিউটর জেনারেল সরদার মুজাফ্ফর আবাসি এবং মামলার ডেপুটি পরিচালক (তদন্ত) মোহসিন হারুন। মামলার শুনানিতে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী সালমান সফদার আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে ইমরান খান বলেন, তোষাখানার সঙ্গে আমার স্ত্রীর কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি কোনো সরকারি পদধারী ছিলেন না। তাকে কেন তাহলে মামলায় জড়ানো হলো! অর্থের জন্য এনএবি কর্মকর্তারা নিজেদের এভাবে বিক্রি করে দিতে পারেন না।
এসময় এনএবি আইনজীবী আব্বাসি ইমরান খানকে সতর্ক করে বলেন, আপনি আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পারেন না। এর উত্তরে ইমরান খান বলেন, ব্যক্তিগত বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
তার বক্তব্যের জবাবে প্রসিকিউটর ইমরান খানকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, রাওয়ালপিন্ডির রাজা বাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার ডিনার ও চা পানের সেট কেনেননি নাকি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান এসব উপহার দিয়েছিলেন! পরে ইমরান খান তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। তার বক্তব্য আদালতের নথি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ইমরান খান তোষাখানা, সিফার এবং অনৈসলামিকভাবে বিয়ে করার জন্য এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি আছেন।