ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানের সময় হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি হিসেবে ‘লাল পতাকা’ উড়িয়েছে ইরান।
ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পাল্টা হামলার ঘোষণার পর বুধবার সকালে কওমের জম করন মসজিদের ওপর এই ‘লাল পতাকা’ ওড়ানো হয়।
যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে মূলত এই ‘লাল পতাকা’ টানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দ্য নিউআরব সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
বুধবারই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরাইলে ‘সরাসরি হামলার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন ইরানের রিভোলুশনারি গার্ডস করপস (আইআরজিসি)-কে।
এর আগে দুইবার ‘লাল পতাকা’ টানিয়েছিল ইরান। প্রথমবার ২০২০ এবং পরে ২০২৪ সালে। ২০২০ সালে মার্কিন সামরিক জেটের হামলায় ইরানের রিভোলুশনারি গার্ডস করপস (আইআরজিসি) কমান্ডার কাশেম সোলেইমানি নিহত হলে এ ‘লাল পতাকা’ টানানো হয়। এরপর ২০২৪ সালে কেরমান কবরস্থানে বোমা হামলা হলে এ পতাকা ওড়ানো হয়েছিল।
বুধবার সুপ্রিম ন্যাশনাল কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডাকেন আলী খামেনি। এসময় তিনি ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দেন। এরপরই মসজিদে ‘লাল পতাকা’ ওড়ানো হয়।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস আইআরজিসি’র দুই সদস্যের বরাত দিয়ে জানায়, লেবাননের রাজধানী হেজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শুকুর এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ পাল্টা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন আলী খামেনি।
খবরে বলা হয়, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে যে বাসভবনে অবস্থান করছিলেন, সে বাসভবনের তথ্য শুধুমাত্র সামরিক কর্মকর্তাদের কয়েক জন জানতেন।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তেহরানের অতিথি ভবনে অবস্থানের সময় সে ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার অর্থ ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা।