আমরা প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত: নেতানিয়াহু
‘আমরা প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করবো এবং যতগুলি হুমকি আসবে, তা প্রতিরোধের জন্য আমরা দৃঢ়বদ্ধ। বুধবার (৩১ জুলাই) ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন নেতানিয়াহু। এরপর তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
হেজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শুকুর এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যার পর বুধবার মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ দুই নেতাকে হত্যার জন্য ইরান, তুরস্ক, হেজবুল্লাহ এবং হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা আসে। এ ঘোষণার পরেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। সে সময় মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হেজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহর ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত ফুয়াদ শুকুরকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা এবং তার কয়েক ঘণ্টা পর হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে একইভাবে হত্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় নেতানিয়াহু বলেন, হেজবুল্লাহ নেতা ও হামাস নেতাকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে চড়ামূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ফুয়াদ শুকুর ছিলেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেরোরিস্ট’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মাথার দাম ধার্য করেছিল ৫ মিলিয়ন ডলার। এই ফুয়াদ শুকুর ১৯৮৩ সালে বৈরুতে ২শ ৪১ জন মার্কিন সেনা এবং ৫৮ ফরাসি সেনা হত্যা করেছিল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হেজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহর ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত ফুয়াদ শুকুরকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানের রাজধানী তেহরানে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে কাতার থেকে যাওয়া হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকেও একইভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার দায় কেউ স্বীকার না করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি এ হামাস নেতাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে।
ইরান, তুরস্কসহ হেজবুল্লাহ ও হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা করে। এরপরি প্রেক্ষিতেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের পাল্টা ঘোষণা এলো।