প্রথমবারের মতো কোনো বাকপ্রতিবন্ধী ‘মিস সাউথ আফ্রিকা’র মুকুট পরতে যাচ্ছেন। চূড়ান্ত তালিকায় থাকা অন্য প্রতিযোগী চিদিম্মা অ্যাদেথশিনা তার মায়ের পরিচয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের শিকার হলে প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন।
এরপরেই চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ২৮ বছর বয়েসি মিয়া লে রউক্সকে ‘মিস সাউথ আফ্রিকা’র বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মিয়া লে রউক্সের বয়স যখন একবছর তখন তিনি তার শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি হেয়ারএইড ব্যবহার করে কথা বলতে শেখেন। মাত্র একটি শব্দ বলতে শেখার জন্য দুই বছর ধরে ‘হেয়ার থেরাপি’ নিতে হয়েছে তাকে।
বিজয়ী ঘোষণার পর মডেল এবং মার্কেটিং ম্যানেজার মিয়া লে রউক্স বলেন, আমি দক্ষিণ আফ্রিকার বাকপ্রতিবন্ধী নারী হিসেবে গর্ববোধ করছি। আমি জানি, সমাজ থেকে ছিটকে পড়লে কেমন লাগে! সীমা অতিক্রম করে এই পৃথিবীতে আমি কী রেখেছি এবং আমি আজ রাতেই একাজটি করেছি!
মিয়া লে রউক্স এসময় আরো বলেন, আমার বিজয় যারা সমাজ থেকে ছিটকে পড়েছে, তাদের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করবে। যারা ছিটকে পড়েছেন কিংবা যারা বিশেষভাবে সক্ষম, তাদের জন্য কিছু করতে চাই।
অন্যদিকে, ২৩ বছর বয়েসি চিদিম্মা অ্যাদেথশিনা গত সপ্তাহে ‘মিস দক্ষিণ আফ্রিকা’ প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তার বাবা একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক আর মা মোজাম্বিকের। তার মা নিজের জন্ম পরিচয় লুকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক বলে পরিচয় দেওয়ার পর চিদিম্মা অ্যাদেথশিনা সামাজিকমাধ্যমে ভীষণভাবে ট্রলের শিকার হন। এরপর তিনি ‘মিস সাউথ আফ্রিকা’ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন।