তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে যুদ্ধাপরাধের সংখ্যা। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধরপাকড় করে আটকের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার জাতিসংঘ মিয়ানমারের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার হাতে ক্রমাগত যুদ্ধাপরাধ, নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং বিরোধীদের দমনপীড়ন বেড়েই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক স্বাধীন তদন্ত দলের (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কৌমিজান বলেছেন, আমরা এমন সব তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি, যাতে দেখা গেছে, ভয়াবহ সহিংসতা এবং অমানবিকতার চরম সীমা লঙ্ঘন করেছে দেশটির সামরিক জান্তা।
২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তারই ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়, যুদ্ধের মাত্রা চরম আকারে পৌঁছেছে এবং এটা এখন চরম সীমা লঙ্ঘন করেছে।
তদন্তকারী দল জানায়, মিয়ানজুড়ে তারা নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন প্রমাণ পেয়েছে। এছাড়া ধরপাকড় করে আটকে রাখা, গলাকেটে হত্যা এবং তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের মতোও ঘটনা ঘটে চলেছে।
এছাড়া সামরিক জেটপ্লেন থেকে স্কুল, ধর্মীয় উপাসনালয় এবং হাসপাতাল লক্ষ করে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটেছে।
আইআইএমএম প্রতিনিধি দল জানায়, হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার এবং তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিচারবহির্ভূতভাবে আটকে রাখা হয়েছে।