ভারতের উত্তরপ্রদেশে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নয় দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ধর্মেন্দ্র কুমার নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র কুমার বেরেলির বাসিন্দা এবং তিনি একজন দিনমজুর। তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় নার্সকে যৌন নিপীড়ন ও খুন করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নার্স নৈনিতালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় তাকে একা পেয়ে অনুসরণ করতে থাকে ধর্মেন্দ্র। এরপর তাকে জোর করে ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
উত্তর প্রদেশের বিলাসপুরে ভাড়া বাসায় ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই নার্স । আগের রাতে বাড়িতে না ফেরায় বুধবার (৩১ জুলাই) নিহত নার্সের বোন স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ৮ আগস্ট দিবদিবা গ্রামে নিজের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি খালি প্লটে তার মরদেহ খুঁজে পায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় এবং অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে একটি দল গঠন করে পুলিশ। একপর্যায়ে ওই নার্সের চুরি হওয়া ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ধর্মেন্দ্র নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া দিনমজুর ধর্মেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের বেরেলির বাসিন্দা। বুধবার তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় ধর্মেন্দ্র মাতাল ছিলেন। ওই নার্সকে দেখার পর তাকে অনুসরণ করতে থাকেন তিনি। নিজের বাসার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের আগমুহূর্তে নার্সের ওপর হামলে পড়েন ধর্মেন্দ্র।
উধম সিং নগরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মঞ্জুনাথ টি সি বলেন, ধর্মেন্দ্র ওই নার্সকে কাছের ঝোপে টেনে নিয়ে যান। ধর্ষণের পর নার্সের ওড়না দিয়েই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ওই নার্সের হাত ব্যাগে থাকা ফোন ও ব্যাগে থাকা ৩ হাজার রুপিও চুরি করেন ধর্মেন্দ্র, বলেন তিনি।।