গাজার মধ্যাঞ্চলের একটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের স্টাফসহ ১৮ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, নুসিরাতের আল জাউনি স্কুলে বুধবার ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) দু’জন সদস্যও রয়েছে। নুসিরাতের আল জাউনি স্কুলটিতে এর আগেও ইসরাইল বেশ কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইউএনআরডব্লিউএ এ হামলায় তাদের ছয়জন স্টাফ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। একক কোন হামলায় এটিই জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিহতের ঘটনা বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গাজার কোন এলাকাই নিরাপদ নয় উল্লেখ করে জাতিসংঘ সংস্থা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর স্কুলটিতে পাঁচ দফা হামলা চালানো হয়েছে। যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ১২ হাজার লোক স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে জাতিসংঘ প্রধান এন্তোনিও গুতেরেস নিহতের এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন।
এক্সে তিনি বলেছেন, গাজায় যা ঘটছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। হামলায় আরো অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে বলে গাজার প্রতিরক্ষা সংস্থা থেকে বলা হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা আল জাউনি স্কুলের ভেতর হামাসের কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।