রাজ্যের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সমর্থনের অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজ্যটির জামশেদপুরে এক সমাবেশে জেএমএমের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেন নরেন্দ্র মোদি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
তিনি বলেন, সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। জমি দখল করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা (বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা) পঞ্চায়েতে অবস্থান নিচ্ছে। মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বাড়ছে...অনুপ্রবেশকারীদের কারণে প্রতিটি ঝাড়খণ্ডি অনিরাপদ বোধ করছে
নরেন্দ্র মোদি বলেন, জেএমএম বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারী এবং চরমপন্থীরা জেএমএম দখল করে নিচ্ছে...এটা ঘটেছে কারণ জেএমএমে কংগ্রেসের ভূত ঢুকেছে...কংগ্রেসের ভূত যখন কোনো দলে প্রবেশ করে, তখন তুষ্টি সেই দলের একমাত্র এজেন্ডা হয়ে দাঁড়ায়...এই দলগুলো ধর্মের ভিত্তিতে তাদের ভোটব্যাংক গঠন করতে চায়।
অনুপ্রবেশকে ঝাড়খণ্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে অভিহিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এএনআই মোদিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ছোট মেয়ের বাবা-মা চিন্তিত। ২-৩ দিন আগে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট অনুপ্রবেশের তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন প্যানেলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেএমএম সরকার ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশের কথা মানতে রাজি নয়। সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহানে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। পুরো অঞ্চলের জনসংখ্যা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডিকে ঝাড়খণ্ডের শত্রু বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, আরজেডি এখনো ঝাড়খণ্ডের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়। আর কংগ্রেস ঝাড়খণ্ডকে ঘৃণা করে। কংগ্রেস কয়েক দশক দিল্লি থেকে দেশ শাসন করলেও পিছিয়ে পড়া আদিবাসী ও দলিতদের এগিয়ে আসতে দেয়নি। জেএমএম আদিবাসী ভোট ব্যবহার করে রাজনীতিতে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আজ তারা আদিবাসীদের ভূমি দখলকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
পিটিআই মোদিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, এটি জেএমএমকে বিদায় জানানোর সময়। দলটি রাজ্যের খনি, খনিজ, সেনাবাহিনীর জমি লুট করেছে। কংগ্রেসের দুর্নীতির স্কুল জেএমএম সরকারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।