উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ নির্বাচনের সমালোচনা করেছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় আর সোমবার সন্ধ্যায় দেশটির নির্বাচন কমিশন কায়েস সাইদকে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে জানিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে।
নির্বাচনে অন্তত ১০ জনের বেশি প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে শুধুমাত্র দুজনকে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
৯০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোটার ভোটদান করেছেন বলে জানা যায়। নির্বাচন উপলক্ষে কোনো নির্বাচনি সভা, পোস্টার, ব্যানারসহ কোনো কিছুই দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, কায়েস সাইদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে আয়েচি জাম্মেলকে ভুয়া প্রামাণ্য দলিল দাখিলের অভিযোগে নির্বাচনের ৫ দিন আগে জেলে যেতে হয়। ফলে, এটি এমনিতেই ধারণা করা হয়েছিল যে, কায়েস সাইদই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হবেন।
দীর্ঘকাল শাসন ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিবাদে স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেনের বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে ২০১১ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
২০১৯ সালে কায়েস সাইদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সংসদ স্থগিত ঘোষণা করেন, সংবিধান নতুন করে লেখেন এবং সব ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, কায়েস সাইদ পেয়েছেন ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯শ ৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আয়েচি জাম্মেল পেয়েছেন ৭ শতাংশ ভোট। ভোটগ্রহণের মাত্র ৫ দিন আগে মিথ্যা দলিল দাখিলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১২ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়।
তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী জৌহির মেঘজাওনি পেয়েছেন ২ শতাংশ ভোট।
নভেম্বর মাসে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে জানা গেছে।