রাশিয়া দাবি করেছে, দেশটির সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে। ‘লেভাডনি’ নামে এই ছোট্ট গ্রামটি সামরিক কৌশলগত দিক অনেক তাৎপর্য বহন করে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের লেভাডনি নামে একটি ছোট্ট গ্রাম দখল করে নিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এই গ্রামে অবস্থান করে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার দুইদিকের সামরিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতো।
জানা যায়, লেভাডনি ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের একটি ছোট্ট একটি গ্রাম। এটি আবার ডোনেটস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। রাশিয়া ইদানিং এ গ্রামটি দখলে নিতে সামরিক অভিযান চালিয়ে এসেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে রাশিয়া এই গ্রামটির দখল নেয়। পরে ২০২৩ সালের জুন মাসের দিকে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়ার দখল থেকে ফের ছিনিয়ে নিয়েছিল।
তবে রয়টার্স রাশিয়ার দাবির সত্যতা নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে যাচাই করতে পারেনি বলে খবরে জানানো হয়।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ফ্রন্ট লাইনের দক্ষিণ দিকের কৌশলগত শহর পোক্রোভস্ক শহর দখল করে নেয়। এই শহর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের হাব হিসেবে পরিচিত।
সে সময় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, পোক্রোভস্ক ঘিরে ফেলা মানে একটি বড় অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া। এই অঞ্চলের ভেতরেই রয়েছে নেভেলেস্কি, হিরনিক এবং ক্রাসনোহোরোইভকা শহর।
এরপর ১ অক্টোবর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খনিসমৃদ্ধ পাহাড়ি শহর ভুহলেদার দখল করে নিয়ে নেয় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এ শহর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের হাব হিসেবে কাজ করে। এ শহর থেকেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার ওপর হামলার রসদ সরবরাহ করতো।
এর আগের সপ্তাহে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এই শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা আরো জোরদার করে।
এ বিষয়ে ডোনেটস্কের গভর্নর ভাদিম ফিলাশকিন বলেছিলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ভুহলেদার শহরে প্রবেশ করেছে। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে।