রাশিয়ার অভ্যন্তরে প্রথমবারের মতো মার্কিন সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করে ইউক্রেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। একটি ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের কারণে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন লেগেছে।
ইউক্রেনের মিডিয়াতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের খবর প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সবুজ সংকেত পাওয়ার দু'দিন পরই রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইউক্রেন।
কয়েকমাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র (এটিএসিএমএস নামে পরিচিত) ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে আসছিলো, যাতে করে কিয়েভ নিজ দেশের সীমানার বাইরে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর দু'মাসের মতো ক্ষমতায় আছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ধরনের পদক্ষেপের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটি হবে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা এটিএসিএমএস মিসাইল প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) পর্যন্ত দূরত্ব পারি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, মূলত রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন এটিএসিএমএস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।