উত্তর ও মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৪৪,০৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার একজন মেডিকেল কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, উত্তর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি।
গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইট লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হোসাম আবু সাফিয়া বৃহস্পতিবার সকালে সিএনএনকে বলেন, হতাহতদের এখনও হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
হামাসের আল-আকসা টিভির এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যখন আক্রমণ করেছিল তখন ঘটনাস্থলে প্রায় ২০০ জন লোক ছিল।
আবু সুফিয়া বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল টিম ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ৬৫ জন শহীদকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকারী দল না থাকায় চিকিৎসা কর্মীরাই ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছে।
সুফিয়া সতর্ক করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জরুরি হস্তক্ষেপ না করলে এবং চিকিৎসা সরবরাহ না করা হলে হাসপাতালটি একটি গণকবরে পরিণত হবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডাঃ মুনির আলবোর্শের মতে, বুধবার একটি পৃথক হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলে ১০ শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এতে মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪,০৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আলবোর্শ বলেছেন, শেখ রাদওয়ান পাড়ায় একটি বসত বাড়িতে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখানেও নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে লেবাননের রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে বৃহস্পতিবার ভোরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এনএনএ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হারেত হরিককে লক্ষ্য করে করা বিমান হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
পাশাপাশি ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ গ্যালান্ত ও হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।