রেস্তোরাঁ কিংবা অনুষ্ঠানসহ জনসম্মুখে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম রাজ্য। এর আগে রাজ্যটিতে মন্দিরের মতো নির্দিষ্ট কিছু স্থানে গরুর মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, প্রচলিত আইনে রেস্তোরাঁ কিংবা অনুষ্ঠানসহ জনসম্মুখে গরুর মাংস খাওয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্ত করা হবে। যদিও এখনও দোকান থেকে গরুর মাংস কেনা যাচ্ছে এবং বাড়িতে কিংবা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে খাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গরুর মাংস খাওয়া ভারতে একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ গরুকে হিন্দুরা শ্রদ্ধা করে। ভারতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ গরু রয়েছে।
এদিকে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছে, এটি মানুষের যা চায় তা খাওয়ার অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।
বিজেপি শাসিত গোয়া এবং অরুণাচল প্রদেশসহ কয়েকটি রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি ও খাওয়া বৈধ।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সদস্য হাফিজ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, "তারা যদি গোয়া বা অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে না পারে, তাহলে আসামে কেন?"
ভারতের ২৮টি রাজ্যের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিজেপি শাসিত। এসব রাজ্যের কিছু কিছু অঞ্চলে গরু জবাই করা ও খাওয়ায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় জবাই করা ও খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। তবে কয়েক রাজ্যে মহিষের মাংস খাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে ২০২১ সালে আসামে গরুর মাংস বিক্রি এবং ক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই আইনে মন্দিরের কাছে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল।
এদিকে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করে, শর্মা কয়েকদিন আগেও আসামের সামাগুড়ি শহরে উপনির্বাচনে মুসলিমদের ভোট পাওয়ার জন্য গরুর মাংসকে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু এমন অভিযোগটি অস্বীকার করেছে বিজেপি সরকার।