পশ্চিমবঙ্গে বামেদের প্রচারে মিটু-র আদলে হ্যাশট্যাগ

ভারত, আন্তর্জাতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকতা, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 08:12:24

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়েছে। তবে সবার ঊর্ধ্বে গিয়ে মিটু-র আদলে বামেদের প্রচার ভোটারদের মনে দাগ কাটছে। বামেদের এই ক্রিয়েটিভ প্রচার, চিরাচরিত দেওয়াল লিখনের বদলে এই পন্থা দ্রুত জনপ্রিয় হয়েছে।

মমতার গড় তথা দক্ষিণ কলকাতায় বামপ্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় নাম ঘোষণার পর শাসকদলের কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এক কর্মিসভায় গানের আদলে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘কে তুমি নন্দিনী! জবাবে সোশ্যাল মিডিয়ায়, #আমাদের নন্দিনী স্লোগান তৈরি করে প্রচারে নেমেছে সিপিএম।’

অবশ্য এই প্যাটার্নে স্লোগান তৈরির পথ দেখিয়েছে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বামকর্মীরা। ইসলামপুরের সাবেক বাম বিধায়ক ফারুক আজমের ছেলে রাজু এর মূল উদ্যোক্তা। ঐ কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম সোশ্যাল মিডিয়ায় তার স্লোগান, #দিল সে সেলিম এবং #ফির সে সেলিম। বীরভূম ও বোলপুরে বামেদের স্লোগান #ওনলি রেজাউল এবং #ওনলি রামচন্দ্রডোম। উত্তর কলকাতায় কনীনিকা ঘোষের #কলকাতা_উত্তরে কনী।

বামকর্মীদের মধ্যে এই প্যাটার্ন জনপ্রিয় হয়েছে দেখে অনেকেই এই পন্থা বেছে নিয়েছেন। এমনকি সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন স্লোগান হ্যাশট্যাগ দিয়ে ব্যবহার করছেন। অভিনেত্রী মিমির বিরোধী প্রার্থী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের জন্য যেমন স্লোগান তৈরি হয়েছে #যাদবপুরে আসলি বিকাশ।

কোন ভাবনা থেকে এ রকম স্লোগান তৈরি করছে বামেরা? উত্তরে জ্যেষ্ঠ বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের দলে একাধিক সৃজনশীল কর্মী সমর্থক রয়েছে। তারাই এই ক্যাচলাইন স্লোগান তৈরি করেছে।’ 

এসব স্লোগান তৈরির পাশাপাশি বামেদের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো সমাজের বিভিন্ন অংশের জন্য ভোটমুখী আলাদা স্লোগানও তৈরি করেছে। বামেদের এই অরাজনৈতিক দলগুলোর স্লোগান #মোদী হঠাও শিক্ষা বাঁচাও, #বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও ও #তৃণমূল হঠাও বাংলা বাঁচাও। 

মুলত বামেরা যেসব স্লোগানগুলো প্রচারে ব্যবহার করছে, সেই সব স্লোগানই সঙ্গে হ্যাশট্যাগ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়ছে। সাংগঠনিকভাবে ক্ষমতায় আসবে কি আসবে না, তা পরের কথা কিন্তু বামেদের মিটু-র আদলে স্লোগান যথেষ্ট জনপ্রিয় হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর