বরের বয়স ২৪, আর কনের বয়স ৮১। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেনের ভিনিটসা শহরের বেভক্কা গ্রামে। বর ইউক্রেনের আলেকজান্ডার কন্ড্রাত্যুক আর কনে জিনেদা ইল্লারিওনোভনা। বর ও কনে সম্পর্কে কাজিন।
৫৭ বছরের বড় প্রতিবন্ধী এই বৃদ্ধাকে বিয়ে করার কারণ কি ভালোবাসার টান, না কি অন্য কিছু? প্রথমে মনে হতে পারে, ভালোবাসার টানেই বুঝি বিয়ে করেছেন তারা। কিন্তু ঘটনা তার উল্টো। আসলে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার হাত থেকে বাঁচতে এ কাজ করেছেন আলেকজান্ডার কন্ড্রাত্যুক।
ইউক্রেনে ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে, কাউকে যদি প্রতিবন্ধী স্ত্রীর দেখাশোনা করতে হয়, তবে চাকরি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ সুযোগটি পাওয়ার জন্যই কন্ড্রাত্যুক বৃদ্ধা প্রতিবন্ধীকে বিয়ে করেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। তবে এ কথা অস্বীকার করে কন্ড্রাত্যুক বলেন, তার প্রতি আমার জিনেদা ইল্লারিওনোভনা গভীর ভালোবাসা রয়েছে।
কিন্তু কনের প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, জিনেদা ইল্লারিওনোভনা বেশিরভাগ সময় তার বাড়িতে একাই থাকেন। তার স্বামীকে এ অঞ্চলে আগে কখনও দেখা যায়নি, এখন কালেভদ্রে তার দেখা মেলে।
দেশটির আইনজীবী রোমান করচেনিয়ুক এ বিষয়ে বলেন, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে তাদের বিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাহলে তাকে সামরিক সেবা দেওয়ার জন্য ডাকা হতে পারে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে, তবে সেনা কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে আগ্রহী নয় বলে জানায় তারা।