চীনে বৈধ পথে শ্রমিক পাঠাতে চায় মিয়ানমার

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 10:22:05

চীনে বৈধ পথে শ্রমিক পাঠাতে চুক্তি করতে চায় মিয়ানমার। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে শ্রমিক পাঠানো এবং সেখানে নিজেদের নাগরিকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করেছে মিয়ানমার।

মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের অধীন অভিবাসন বিভাগের উপ-পরিচালক ইউ জায়ার মিন মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেশটির গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চীন অভিবাসী কর্মীদের নেওয়ার জন্য একটি চুক্তি করতে চেয়েছিল। চীন প্রায় তিন মাস আগে এই প্রস্তাব দিয়েছে। মিয়ানমারের কর্মীদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া আমরা চীন সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে চীন সরকার এখনও সাড়া দেয়নি। আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, চুক্তি হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।

মিয়ানমার ও চীনের মধ্যকার মানবপাচার বিরোধী কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের শ্রমিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে কাজ করার অনুমতি নেই। তবে চীনের শান রাজ্যে মিউজ টাউনশিপে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মিয়ানমারের নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে কাজ করতে যায়।

ইউ জায়ার মিন বলেন, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে সরকারি শ্রম চুক্তি না হওয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণ ও পাচার করা হচ্ছে। চীনে এ নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। চীনের নিয়োগকর্তাদের আমরা বলেছি বৈধ পথে মিয়ানমারের কর্মীদের নেওয়ার জন্য। না হলে কর্মীদের শোষণ করা হচ্ছে। ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেক অভিবাসী শ্রমিক এখনও চীনে যাচ্ছে।

চীনে কাজ করলে একজন শ্রমিক মাসে ২৬০ ডলার আয় করতে পারে। সেখানে মিয়ানমারে একই কাজের জন্য মাসে ১০০ ডলারের কম মজুরি পায় তারা।

মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ৩১ জন অভিবাসী শ্রমিককে চীনা নিয়োগকারীর নির্যাতন থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে।

মানবপাচার বিরোধী পুলিশ টাস্কফোর্সের মতে, চীনে মিয়ানমারের আনুমানিক এক লাখ অবৈধ শ্রমিক রয়েছে। এসব শ্রমিক চীনা ফ্যাক্টরি, ওয়ার্কশপ, নির্মাণ কাজ, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, খামারে এবং গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে থাকে।

মিয়ানমারের নাগরিক থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানেও কাজ করে। তবে এসব দেশের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের দ্বিপক্ষীয় শ্রম চুক্তি রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর