ব্রিটিশ দূতাবাস কর্মীকে নির্যাতন করেছে চীন

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-21 03:32:07

হংকংয়ে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের এক কর্মীকে নির্যাতন করেছে চীন সরকার। সাইমন চেং নামের সাবেক ওই দূতাবাস কর্মী আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসিকে এ তথ্য জানায়।

সাইমন চেং ব্রিটিশ দূতাবাসে প্রায় দুই বছর কাজ করেছেন এবং চলতি বছরে আগস্টে চীনের মূল ভূখণ্ডে ভ্রমণের জন্য গেলে তাকে পনের দিনের জন্য আটক করা হয়।

২৯ বছর বয়সী সাইমন বলেন, 'আমাকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে রাখা হয়। তারা বলে যে তারা পুলিশের লোক এবং আমাদের কোন মানবাধিকার নেই, এটা বলেই তারা নির্যাতন শুরু করে। এ সময় আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।' এছাড়া বন্দিশালায় নতুন এক হংকংকে দেখেছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে, যুক্তরাজ্যের সরকারি সূত্রগুলো বলছে, তারা বিশ্বাস করে যে তাদের দূতাবাসের কর্মী সাইমনের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে ও স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর করতে তাকে বাধ্য করা হয়েছে। এদিকে এ সাক্ষাৎকার সম্পর্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ডোমোনিক রাব বলেন, 'ঘটনা জানার পর আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছি।'

ডোমোনিক রাব বিবিসিকে জানিয়েছে, 'চীনের মূল ভূখন্ডে সাইমন যাওয়ার পরে তাকে আটক করা হয়। তাদের এ ব্যবহারে আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা চীনকে এবিষয়ে অবগত করেছি। আমরা আশা করি চীনা কর্তৃপক্ষ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'


নিখোঁজ সাইমন চেং কে খোঁজার জন্য আন্দোলন, ছবি: বিবিসি

তবে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থেকে জানানো হয়, সাইমনকে পতিতা সম্পর্কিত ব্যাপারে আটক করা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২০ নভেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, আমাদের ওপর দোষারোপ করলে আমরা মেনে নেব না। এছাড়া চীনে অবস্থিত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কে তলব করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি যুক্তরাজ্য বুদ্ধিমত্তার কাজ করবে এবং তারা চীনের দেশীয় ইস্যুতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করবে।

এর আগে সোমবার লন্ডনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হংকংয়ে চলমান সহিংসতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ অন্যন্যা দেশের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের রাজত্বের অবসান শেষে ১৯৯৭ সালে চীনের অধীনে আসে হংকং। তারপর থেকে ‘এক দেশ দুই নীতি’র ভিত্তিতে হংকং শাসন করছে চীন। আর চীনের নতুন প্রত্যর্পণ বিলকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্দোলন করে আসছে হংকংবাসী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর