যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান প্রত্যেকে একজন করে বন্দীকে মুক্ত করে দিয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশ দুটি এ বন্দী বিনিময় করে। দেশ দুটির উত্তেজনার মধ্যে এ বন্দী বিনিময় নতুন সম্পর্ক স্থাপন করবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
চুক্তি অনুযায়ী, ইরান চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জিয়াউ ওয়াংকে মুক্ত করে দেয়। এর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন বছর ধরে ওয়াং ইরানি কারাগারে বন্দী ছিলেন। আর যুক্তরাষ্ট্র ইরানি নাগরিক মাসুদ সোলেয়মানিকে মুক্ত করে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় মাসুদ সোলেয়মানিকে কারাগারে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বন্দী বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আমরা আশাবাদী ওয়াংয়ের পর ইরানের কারাগারে বন্দী থাকা অন্যসব মার্কিন নাগরিকদের ইরান মুক্ত করে দিবে। আর এ কাজের ফলে তেহরান যে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক তা প্রতিফলিত হচ্ছে। আর ওয়াং সুস্থ রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বন্দী বিনিময় নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আনন্দের বিষয় যে, মাসুদ সোলেয়মানি এবং জাই ওয়াং শিগগিরই তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন। বন্দী বিনিময়ের কাজকে সহজ করে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড।'
সোলেয়মান তেহরানে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকের বলেন, তারা আমাকে একটি ক্ষুদ্র জায়গায় ধরে রাখে। তাদেরকে আমি বলেছিলাম অনেকে আমার সঙ্গে রয়েছে যারা অসুস্থ। এর জবাবে তারা বলে তাতে কি হয়েছে। তাদেরকে মরতে দাও। এতে বুঝা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সমস্যা রয়েছে।
এদিকে বন্দী বিনিময়ের জন্য ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান চুক্তি করতে পারে তা বিশ্বকে দেখিয়েছে।' এর আগে ট্রাম্প চুক্তি আলোচনায় সহায়তা করার জন্য সুইস সরকারকে ধন্যবাদ জানায়।