ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভূপাতিত করায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তেহরানের রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা প্রথমে অস্বীকার করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ‘মিথ্যাবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শরিফ ও আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। তাদের ইরানের নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ সোলাইমানির ছবিও ছিঁড়তে থাকেন। সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পদত্যাগ দাবি করেন। প্লেন বিধ্বস্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও জানান তারা।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে টু্ইট করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টুইটে তিনি লিখেন, ইরানের সাহসী ও নির্যাতিত মানুষ; যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আমি ও আমার প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের প্রতিবাদ আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আপনাদের এমন সাহসকে সাধুবাদ জানাই।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ইউক্রেনের উড়োজাহাজটি ভুল করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেয় ইরান।
এক বিবৃতিতে ইরানি সামরিক বাহিনী জানায়, উড়োজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ছিল না। এটা ছিল ভুল। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইরানের তেহরান বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই ইউক্রেনের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ জন আরোহীর সবাই মারা যায়।