অবৈধভাবে আমদানিকৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের ৪২ কনটেইনার যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দেশটির পরিবেশমন্ত্রী ইয়ো বি এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া যেন বিশ্বের আবর্জনা ডাম্পিংয়ে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার কারণে ১৫০ কনটেইনার আবর্জনা যেখানে উৎপাদিত হয়েছিলো সেসব দেশে পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, গত বছর মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বর্জ্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেয়েছিল তারা। ইতোমধ্যে কয়েক কনটেইনার বর্জ্য ফেরত এসেছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেন, আবর্জনা দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ ও শিপিং লাইনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্বের বৃহত্তম প্লাস্টিক আমদানিকারক চীন ২০১৭ সালে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে। এরপর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে অধিক বর্জ্য পাঠানো হত। কিন্তু মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ তা গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না।
মালয়েশিয়া জানায়, তারা তিন হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন অনাবশ্যক বর্জ্য ১৩টি দেশে পাঠাবে। যার মধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় যথাক্রমে ৪৩, ৪২, ১৭ এবং ১১ কনটেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠানো হবে।
মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ আশা করছে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তারা ১১০ কনটেইনার বর্জ্য পাঠাবে। যার মধ্যে ৬০টি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ধনী দেশগুলো তাদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য দরিদ্র দেশগুলোতে প্রেরণ করে কারণ এটি সস্তা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য লক্ষ্যগুলো পূরণে সহায়তা করে। ধনী দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রয়েছে সবার ওপরে।