ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে দিল্লিতে চলমান সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে সাত হাজার আধাসামরিক সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর দ্যা হিন্দুস্তান টাইমসের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দিল্লির ২০৩টি থানার মধ্যে মাত্র ১২টির আওতাভুক্ত ৪.২ শতাংশের মতো অঞ্চল সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় এসব থানায় কোনও বড় ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আধাসামরিক বাহিনীর ৭০টি কোম্পানির ১০০ জন করে মোট সাত হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের তদারকি ও নিয়ন্ত্রক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এ ঘটনায় ৫১৪ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন, যেখানে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পাটনায়েক উপস্থিত ছিলেন। তবে এ বৈঠকে ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল ছিলেন কি না, সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
অজিত দোভাল গত ৪৮ ঘণ্টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পরিস্থিতি বোঝার জন্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। অমিত শাহ নাগরিকদের প্রতি গুজবে বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী দুষ্কৃতকারী এবং কোনও দুরভিসন্ধির শিকার না হওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়।