বর্তমান বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ। এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৯৯২ জন মানুষের। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৮৬ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৯০ জন।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই এসব দেশে সুস্থ হয়ে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। মোট আরোগ্য লাভ করাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চীনে ৭৭ হাজার ৬৭৮ জন, স্পেনে ৪৬ হাজার ২১ জন, ইতালিতে ২৪ হাজার ১২৫ জন, ইরানে ২৬ হাজার ৪৫১ জন, জার্মানিতে ৪৬ হাজার ৩০০ জন, ফ্রান্সে ২১ হাজার ৪৬১ জন।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৫৭১ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে প্রথমে আছে ইতালির নাম। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২২।
তাছাড়া চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৮৮৩, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৫১ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭৯২ জন। ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ৮৩ হাজার ৮০, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৯৭। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯৬, প্রাণহানি হয়েছে ২ হাজার ৩৪৯ জনের।
দক্ষিন এশিয়ার দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯১৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১শ ৭৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫শ ৬ জন। এছাড়াও বাংলাদেশ ৩শ ৩০ জনকে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ২১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
উল্লেখ্য, চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।