বর্তমান বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ মহামারি ভাইরাস সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৭ জন মানুষের। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৬২৫ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ও মিটারের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চীনে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্সে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। দেশগুলোতে সুস্থতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া আমেরিকাতে মৃত্যুর সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শরে দেখা দেয় মরণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরপর ছড়িয়ে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে।
প্রতিদিনই এসব দেশে সুস্থ হয়ে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। মোট আরোগ্য লাভ করাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চীনে ৭৭ হাজার ৬৬৩ জন, স্পেনে ৬২ হাজার ৩৯১ জন, জার্মানিতে ৬০ হাজার ৩০০ জন, ইরানে ৪৩ হাজার ৮৯৪ জন, ইতালিতে ৩৪ হাজার ২১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৩২ হাজার ৬৩৪ জন, ফ্রান্সে ২৭ হাজার ১৬৮ জন।
এদিকে আক্রান্তের ও মৃত্যুর দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে করোনায় আমেরিকায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ হাজার ১১৫ জন মানুষ।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয়তে স্থান করছেন স্পেন। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ২০৯ জনের।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয়তে আছে ইতালির নাম। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ১৯ হাজার ৮৯৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ ফ্রান্স। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯১ জন এবং মৃত্যু ১৪ হাজার ৩৯৩ জনের।
জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৪, প্রাণহানি হয়েছে ২ হাজার ৩৪৯ জনের।
এদিকে কিছুদিন আগেও আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে থাকা দেশ চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চীনের মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ১৬০, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৪১ জনের।
অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ২০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৩১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮০ জন।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৬২১ জনকে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন।
উল্লেখ্য, এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।