করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন জারি করায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ১৯৩০ সালের মহা মন্দার পর এবারই প্রথম বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করছে ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড (আইএমএফ)। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) আইএমএফ এ কথা জানিয়েছে।
আইএমএফ তাদের ২০২০ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে ২০২১ সালে অর্থনীতির আংশিক পুনরুত্থানের সম্ভাবনার কথা বলেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সম্ভাবনার কথা একেবারে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মহামারি কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে তার ওপর নির্ভর করবে ফলাফল কতটা খারাপ হবে।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এক বিবৃতিতে বলেন, ২ বছরে বিশ্ব সামগ্রিকভাবে ৯ মিলিয়ন উৎপাদন হারাবে, যা জার্মানি এবং জাপানের সম্মিলিত জিডিপির চেয়ে বেশি।
আইএমএফের ধারণা, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে অধিকাংশ দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে এবং বছরের শেষার্ধে এর প্রকোপ কমে যাবে। তখন আবার ধীরে ধীরে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হবে।
যদি মহামারি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তাহলে অর্থনীতি আরো ৩ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। দেউলিয়াত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বের ভয়াবহ প্রভাবের কারণে ২০২১ সালে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা রয়টার্সকে বলেন, ধস বন্ধে গত সপ্তাহে যে ৮ ট্রিলিয়ন সরকারি রাজস্ব প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যথেষ্ট নয়।
দরিদ্র দেশগুলোকে আরো ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি এ সপ্তাহে আলোচনা করবেন বলেও জানান।