বর্তমান বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। বিশ্বজুড়ে এই করোনা শনাক্ত রোগী ২০ লাখ ছাড়াল। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তে মোট রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৯৮৪ জন।
এছাড়াও এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ হাজার ২৮ হাজার ৭১ জন মানুষের। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ লাখ ১ হাজার ২০৬ জন।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৯ হাজার ৬৯৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ হাজার ৪২৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৪৮২ জন মানুষ।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর আছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৩। মারা গেছেন ১৮ হাজার ৫৭৯ জন। সুস্থের সংখ্যা ৭০ হাজার ৮৫৩। এর পরই আছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জন করোনা রোগী নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে দেশটি। ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ২১ হাজার ৬৭ জনের। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৩০ জন।
ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৩২১। মারা গেছেন ৩ হাজার ৫০২ জন। সুস্থ ৭২ হাজার ৬শ জন মানুষ। এছাড়া ফ্রান্সে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে ১৫ হাজার ৭২৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ১২১ জন। যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮৫২ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার ১০৭ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা মাত্র ৩শ ৪৪ জন।
এছাড়া, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৩৫৫ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৩০৭ জন ও দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৪২।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৫৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩শ ৯৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৩শ ৬২ জন। এছাড়াও বাংলাদেশ ১ হাজার ২৩১ জনকে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন মোট ৫০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ জন।
উল্লেখ্য, চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।