মার্কিন মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধ সংস্থা ফাইজার ইনক মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির ঘোষণা দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে ফাইজার ইনক ও জার্মান মালিকানাধীন বায়োএনটেক (এসই) একটি বৈশ্বিক সহযোগিতা চুক্তি করেছে। যেখানে বায়োএনটেকের এমআরএনএ ভিত্তিক করোনভাইরাস ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের আওতায় ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এই দুইটি সংস্থা যৌথভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পথে এগোচ্ছে। বায়োএনটেক ও ফাইজার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এপ্রিলের শেষেই শুরু করতে যাচ্ছে। যা ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি রিসার্স সাইটের সহায়তায় এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে।
ইতোমধ্যে ২০২০ সালের মধ্যে লক্ষাধিক ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের সাপেক্ষে ২০২১ সালে কয়েক মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির।
এর বাইরে ফাইজার ইনক ও লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের রেসপিরেটরি ইনফেকশন ক্লিনিকাল রিসার্চ গ্রুপ নিউমোনিয়া ও কোভিড-১৯ এর মধ্যে মিথস্ক্রিয়াগত পার্থক্য নির্ণয়ে গবেষণা করছে। আগামীতে এই গবেষণার জন্য তহবিল সরবরাহ ও পরীক্ষাগারে পরীক্ষার সহায়তা প্রদানের জন্য লিভারপুলের সঙ্গে একটি গবেষণা সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্ত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ফাইজার।
গবেষক ও বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বিকাশে অ্যান্টিভাইরাল যৌগ তৈরির জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে একটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দিকে এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা বলে জানিয়েছে ফাইজার।
ফাইজার ইনক এর চেয়ারম্যান ও সিইও ডাক্তার আলবার্ট বলেন, আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে করোনা মোকাবিলায় ফাইজার পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়েছে। আমাদের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা সংক্রমিত রোগীদের সহায়তার জন্য ফাইজারের পোর্টফোলিওতে বিদ্যমান ওষুধগুলোর সম্ভাব্য নতুন ব্যবহার খুঁজতে চেষ্টা করছেন।
ফাইজার জানায়, একটি প্রধান যৌগিক ও অ্যানালগগুলোর সমন্বয়ে করোনাভাইরাসকে বাধা দিতে সক্ষম বলে স্ক্রিনিং থেকে ফলাফল এসেছে। এখন ক্লিনিক্যাল টেস্ট নিশ্চিত করতে, প্রয়োজনীয় স্টাডিজ সম্পাদন করা হবে যেখানে অ্যান্টি-ভাইরাল প্রোফাইলিং ও উপযুক্ততার ভিত্তিতে লিড মলিকিউয়ের মূল্যায়ন করা হবে। সংস্থাটি ক্লিনিক্যাল টেস্টের কনফার্মেশনারি স্টাডির ইতিবাচক সমাপ্তির জন্য এমন যৌগগুলোর নির্বাচন করেছে যা ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি আশানুরূপ ফলাফল নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন- ক্লোরোকুইন ওষুধে কি করোনা নিরাময় সম্ভব?
গরমে কমবে করোনার সংক্রমণ, দাবি মার্কিন গবেষকদের
করোনার চিকিৎসায় চার ওষুধ নিয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা