মহামারি করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে ১০ লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ লাখ ৭১ হাজার ৯৬১ জন এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৪ জন মানুষ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।
শুক্রবার (১ মে) জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির করোনা রির্সোস সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইতালিতে একদিনে সর্বোচ্চ সুস্থ ৪৬৯৩ জন
ইতালিতে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৬৯৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৯৪৫ জন মানুষ সুস্থ হয়েছেন। দেশটিতে করোনা মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার ৪৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৬৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে দেড় লাখ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। আমেরিকায় এ পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৭০ হাজার ৩২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪৭ জন।
স্পেনে সুস্থ হলেন ১ লাখ মানুষ
স্পেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৫ জন। দেশটিতে ২৪ হাজার ৫৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটিতে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জার্মানিতে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ মানুষ
জার্মানিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনে সুস্থ হলেন ৭৮ হাজার মানুষ
চীনে এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ জনের। দেশটিতে মোট ৭৮ হাজার ৫২৩ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এছাড়া ফ্রান্সে ৫০ হাজার ৩৮০ জন, ইরানে ৭৫ হাজার ১০৩ জন, ব্রাজিলে ৩৫ হাজার ৯৩৫ জন, কানাডায় ২১ হাজার ৪২৪ জন, সুইজারল্যান্ডে ২৩ হাজার ৪০০ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।