অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা আসছে জুনের মধ্যেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
রোববার (৩ মে) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য রিজিয়াস প্রফেসর অব মেডিসিন স্যার জন বেল এক টিভি প্রোগ্রামে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
গবেষকরা দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল থেকে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য রাখবেন। জুনের শুরুতে আমরা তার প্রমাণ পাব বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই দ্রুত করতে গিয়ে সুরক্ষার কোনো বিষয় যেন বাদ না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
স্যার জন বেল বলেন, ভ্যাকসিনটি নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কারণ এটি শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম। তাই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্ভবত ঠিক আছে বলেই আমরা মনে করছি। আসল প্রশ্নটি হচ্ছে সেফটি প্রোফাইল ঠিকঠাক হবে কি না তা নিয়ে। আমাদের ক্লিনিক্যাল স্টাডিজের মূল ফোকাস এটাই।
‘শুধু ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা নয়, চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন নিশ্চিত করা ও বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিনের বণ্টন নিশ্চিত করাও আমাদের লক্ষ্য’, বলেন তিনি।
এর আগে ১ মে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোনো মুনাফা ছাড়াই ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। অক্সফোর্ডের দলটি বলছে, ভ্যাকসিনটি যদি কার্যকর হয়, তাহলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করার লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনুমোদনের অপেক্ষায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিষেধক
করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির কার্যকারিতা প্রমাণিত: ড. ফাউসি
করোনার চিকিৎসায় কাজ করছে রেমডেসিভির
অক্সফোর্ডে ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও অগ্রগতি
প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ, আসতে পারে মহাবিপর্যয়
ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা